শরীয়তপুরে শ্যালকের বিরুদ্ধে দুলাভাইকে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শ্যালকের বিরুদ্ধে দুলাভাইকে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার ডিএমখালি ইউনিয়নের সরদারকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জাফর সরদার (৩৫)। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানার ডিএমখালি ইউনিয়নের সরদারকান্দি এলাকার শাহ-আলম সরদারের ছেলে। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তাঁকে হত্যার অভিযোগে তাঁর শ্যালক স্বপন ইসলাম ওরফে শাওন প্রামাণিককে আটক করেছে পুলিশ।
সখীপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সরদারকান্দি এলাকার শাহ–আলম সরদারের ছেলে জাফর সরদার ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি বাক্প্রতিবন্ধী। আট বছর আগে পাশের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের ফজলুল হক হাওলাদারকান্দি এলাকার মোখলেস প্রামাণিকের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করেন তিনি। ফাতেমার ভাই স্বপন ইসলাম মাদকাসক্ত।
শুক্রবার রাতে জাফর সরদারের শ্বশুরবাড়িতে পরিবারিক একটি বিষয় নিয়ে সালিস বৈঠক হয়। সালিস শেষে রাতে স্বপন তাঁর বোন ফাতেমার সঙ্গে তার দুলভাইয়ের বাড়িতে চলে আসেন। রাতের বেলা তিনি তাঁর দুলাভাই জাফর সরদারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। আজ শনিবার সকালবেলা দুলাভাইয়ের মাথায় পুতা দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান স্বপন। এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে শয়নকক্ষে জাফর সরদারকে বিছানায় রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গোসাইরহাটের আলওয়ালপুর এলাকা থেকে স্বপনকে আটক করে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাফর সরদার নামের এক ব্যক্তিতে তাঁর শ্যালক হত্যা করে পালিয়ে যান, এমন অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ গোসাইরহাট থেকে তাঁকে আটক করেছে। টাকা লেনদেনের কোনো বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’