শেরপুরে মেয়রের আসনে আবার পরিবর্তন, জানে আলম বলছেন জবরদস্তিমূলক

ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাজমুল আলম আজ বৃহস্পতিবার মেয়রের চেয়ারে বসেনছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার শেরপুরে মেয়রের আসনে আবারও পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র সাত দিনের মাথায় আবারও ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেলেন নাজমুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ ঘটনাকে জবরদস্তি ও বেআইনি বলে দাবি করেছেন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জানে আলম। তবে নাজমুল আলম বলছেন, আদালতের নির্দেশে তিনি আবারও এই ক্ষমতা পেয়েছেন।

শেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে জানান, তিনি শুনেছেন সাবেক মেয়র জানে আলমের উচ্চ আদালতের রায় পুনরায় স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১ নম্বর প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম আজ বিকেলে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশ তাঁরা পাননি।

পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাজমুল আলম জানান, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানে আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। এরপর তাঁকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বরখাস্তকৃত মো. জানে আলম উচ্চ আদালতের রায় পান। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। গতকাল বুধবার স্থগিত আদেশের রায়টি স্থগিত রাখেন উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের যে আদেশ দেওয়া ছিল, তা এখনো ঠিক থাকছে। এ কারণে তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

মো. জানে আলম বলেন, ‘আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মে মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখেন আদালত। সেই সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলে ৪ জুলাই মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। এর ঠিক সাত দিনের মাথায় আবারও ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন নাজমুল আলম।’

দায়িত্ব গ্রহণকে জবরদস্তিমূলক দাবি করে জানে আলম বলেন, ‘গত ২১ মে আদালতের রায় পেয়েছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য ৩ জুলাই মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসবের কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই নাজমুল আলম আজ চেয়ারে বসেছেন। আদালতের রায় বা মন্ত্রণালয়ের কোনো চিঠি আমাকে দেখানো হয়নি।’