খুনের পর ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন তাঁরা, শেষ রক্ষা হয়নি
চট্টগ্রাম নগরে ছুরিকাঘাতে সাহেদ হোসেন ওরফে মনা (২৮) নামের এক যুবক খুনের ঘটনায় চার আসামিকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার চৈঠপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগরের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, খুনের ঘটনার পর আসামিরা ভারত পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. জুয়েল (৩৪), মো. বশির (২৬), মো. সাগর (২৮) ও মো. জুয়েল প্রকাশ ছোট জুয়েল (২৫)। তাঁরা নগরের পাহাড়তলী, কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় বসবাস করতেন। এর আগে গত রোববার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডের পাখি মার্কেটের গলিতে অভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হন সাহেদ। পুলিশ জানায়, নিহত সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আটটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, স্টেশন রোড ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় সাহেদের একটি দল রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে থাকেন। সম্প্রতি দলের মো. জুয়েলের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরে রোববার রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে জুয়েলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাহেদ। পরে রাতে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন সোমবার নগরের কোতোয়ালি থানায় নিহত সাহেদের বাবা শাহ আলম মো. জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। একই দিন মামলার আসামি মো. সজীব (২৪) ও মো. শেখ ফরহাদকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারে খুনের ঘটনায় পরদিন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাগর আদালত জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।