জয়পুরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ

খাজা আল আমিন
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে খাজা আল আমিন ওরফে সোহাগকে (৪২) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ হামলার মুখে পড়েছে অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এর আগে গতকাল রাতেই আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আল আমিন জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা শামছুল আলমের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আল আমিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুটি মামলাসহ তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় এর আগেও আল আমিন কারাভোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন জয়পুরহাট সদর থানার এসআই রেজাউল করিম ও আলমগীর হোসেন এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান। আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের গতকাল রাতে জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আল আমিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জয়পুরহাট সদর থানায় পৌঁছানোর পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা শুরু করে। এর মধ্যে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে এসআই রুবেল হোসেন গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, আল আমিন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের মূল ফটকে অবস্থান করছেন। পুলিশের একটি দল রাত পৌনে নয়টার দিকে সেখানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আল আমিন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে আটক করে হাতকড়া পরাতে গেলে তিনি ধাক্কা দিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁর কয়েকজন সহযোগী এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে গ্রেপ্তারে বাধা দেন এবং তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা বাঁশের লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারধর এবং তাঁদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকেন। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।

পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। তবে আল আমিনের সহযোগীরা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আল আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুটি ও চেক প্রত্যাখানের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। আজ আল আমিনকে আদালতে পাঠানো হবে।