রাজশাহীতে স্বতন্ত্র সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের একটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানীর সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এ আসনে নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। তিনি চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষে দুজন পুলিশ ও দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার সময় গোলাম রব্বানীর সমর্থকেরা ফলাফল মেনে নিতে পারেনি। মুন্ডুমালা পৌর এলাকা গোলাম রব্বানীর নিজের এলাকা। তিনি পৌরসভার সাবেক দুবারের মেয়র। তাঁর সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল, এ কেন্দ্রে অবশ্যই গোলাম রাব্বানী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। সেখানে তাঁর পরাজয় সমর্থকেরা মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোট বাক্স নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার উদ্যোগ নিলে তাঁরা কেন্দ্রটি ঘেরাও করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা কেন্দ্রটি ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

গোলাম রব্বানীর সমর্থকদের দাবি, সংঘর্ষে তাঁদের অন্তত ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেনি প্রথম আলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে উত্তেজিত সমর্থকদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করতে দেখা যায়।

মুন্ডুমালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তানোর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জাকিরুল হোসেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এখন ব্যস্ত আছেন, কথা বলতে পারবেন না।