জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের সদ্য বিদায়ী ডিন মো. নূহু আলম
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. নূহু আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রুটিন দায়িত্ব) এ বি এম আজিজুর রহমানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। গত ১৬ মে জীববিজ্ঞান অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে অধ্যাপক মো. নূহু আলম দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর আজ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগ করেন।  

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের পদত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন উপাচার্য। এখন উপাচার্য পদে কেউ না থাকায় উপাচার্য দপ্তরে আমরা ফাইলটি পাঠিয়ে রাখব। নতুন যিনি উপাচার্যের দায়িত্বে আসবেন, তিনি সেটি গ্রহণ করবেন।

খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগে আল্টিমেটাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শারমিন সুলতানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ওই হলের ছাত্রীরা। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। আজ রোববারের মধ্যে তাঁকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন ছাত্রীরা। এ বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতিও দিয়েছেন হলের ছাত্রীরা।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা উল্লেখ করেছেন, ১৫, ১৬ ও ১৭ জুলাইয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ছাত্রদের ওপর যে অতর্কিত হামলা হয়, সেই সংকটপূর্ণ সময় বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শারমিন সুলতানা দায়িত্বহীন আচরণ করেছেন এবং সেই সময় তিনি ছাত্রীদের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তাই ১৫ জুলাই থেকে বেগম খালেদা জিয়া হল প্রাধ্যক্ষবিহীন বলে ছাত্রীরা ধরে নিয়েছেন। তিনি হল কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনে ব্যর্থ হয়েছেন।

বিবৃতিতে ছাত্রীরা আরও বলেন. খালেদা জিয়া হলের ডাইনিং, ক্যানটিন ও ওয়াই–ফাই লাইনের অব্যবস্থাপনায় তিনি নীরব সমর্থক ছিলেন বিধায় সেগুলোর সমাধান করেননি। তিনি ক্যানটিনে স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলার সঙ্গে জড়িত। এ কারণে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধিক্কার জানিয়ে তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন এবং তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন। তিনি যদি ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।