চট্টগ্রামে প্রস্তুত ১ হাজার ৩৪ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড়ে রিমালের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছেন রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। আজ বেলা ১টা ৩০মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার মতিঝর্ণায়।ছবি- জুয়েল শীল

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। দুর্গত মানুষের জন্য ১ হাজার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮২টি মেডিকেল দল কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি উপকূল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।

উপকূলীয় উপজেলাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে রিমাল মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ছয়টি উপজেলায় ৩৮ টন চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রিমাল মোকাবিলার প্রস্তুতি সভাও হয়েছে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপকূলীয় উপজেলাগুলোর মানুষকে ঝড় থেকে রক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে আমাদের দল। এ ছাড়া মেডিকেল দলও সিভিল সার্জন প্রস্তুত রেখেছেন। বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছে মেডিকেল টিম।’

চট্টগ্রামে সন্দ্বীপে ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এ ছাড়া বাঁশখালীতে ১১৭টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। ১৫ উপজেলায় সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান। এ ছাড়া গবাদি পশুদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন, শুকনা খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়।