পাটকলের গুদামে মজুত করে রাখা ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল জব্দ

পাটকলের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল। আজ অভিযান চালিয়ে চালগুলো জব্দ করে র‍্যাব
ছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটের ফকিরহাটে একটি পাটকলের গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ২০ মেট্রিক টান চাল জব্দ করেছে র‍্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গুদাম থেকে চালগুলো জব্দ করা হয়।

র‍্যাব সূত্র জানায়, বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রির জন্য পাটকলের গুদামটিতে ওই চাল মজুত করে রাখা হয়েছিল। অবৈধ মজুতের দায়ে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় র‍্যাব-৬ (খুলনা)–এর কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব-৬–এর খুলনা সদর কোম্পানির স্কোয়াড কমান্ডার লে. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুধাংশু কুমার চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যবসায়ী ওই চাল আমদানি করে পাটকলের গুদামটিতে মজুত করে রেখেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ওই চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হবে।

র‍্যাব-৬ কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, এই চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় মজুত করা হয়েছিল। গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ চালগুলো সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া যায়নি।

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এই চাল আমদানি করা হয়েছিল। তবে চালের মান খারাপ বলে পরে তা আর সরকারি খাদ্যগুদামে দেননি ওই ব্যবসায়ী। আসলে মাত্র দু-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভালো। গুদামে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল রয়েছে। জুট মিলে এত চাল থাকার কথা নয়।