বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি সরিয়ে নিয়েছে ‘রুস্তম’

ওয়াটার বাস ডুবে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান। গতকাল রাতে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। আজ সোমবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাট এলাকা থেকে ওয়াটার বাসটি পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ঘাটে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়। এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি হলেন নুরুল আফছার ওরফে মিঠু (৫৪)। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কবুতরপাড়া এলাকার রউফ শেখের ছেলে।

অসুস্থ অবস্থায় মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা চারজনের মধ্যে বর্তমানে দুজন চিকিৎসাধীন আছেন
ছবি: প্রথম আলো

মৃতদেহ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে হাসপাতালের মর্গে এসে নুরুল আফছারের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর ভাগনে মো. নাহিদ। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আলিফ ও ফাহিমের মৃতদেহ গতকাল রাতে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় সামিরা আক্তার (১৮), মিমি আক্তার (১৮), মো. বিল্লাল (২৫) ও মুনসুর মিয়াকে (৩৮) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. বিল্লাল ও মুনসুর মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ছাড়া সামিরা আক্তার ও মিমি আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের মাধ্যমে ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াটার বাসটি ঘটনাস্থল তেলঘাট থেকে সরিয়ে পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ থাকার কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি।