বিদ্যুতের খুঁটি রেখে সড়কে ঢালাইয়ের কাজ শেষ

বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না হওয়ার ঘটনার জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ পরস্পরকে দায়ী করছে।
শমশেরনগর-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ভানুগাছ বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের শমশেরনগর-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজার এলাকায় সড়কের ওপর তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়কে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। এ কারণে সড়কটি সরু হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না হওয়ার ঘটনার জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পরস্পরকে দায়ী করছে। এ বিষয়ে সওজ বলছে, খুঁটি অপসারণের জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে চিঠি ও টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে ওই ধরনের কোনো চিঠি পায়নি বলে দাবি করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্র জানায়, শমশেরনগর-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কটি ১৫টি বছর আগে নির্মিত হয়। দুই মাস ধরে এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই কাজের অংশ হিসেবে শমশেরনগর-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের প্রস্থ চার মিটার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ দশমিক পাঁচ মিটার করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শমশেরনগর-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ভানুগাছ বাজারের অংশে সড়ক উন্নয়নকাজের আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সড়কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে এক পাশের ঢালাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। সড়কের এক-তৃতীয়াংশে একটি খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটির পাশ দিয়ে চারদিকের চারটি সড়কের সংযোগ স্থান রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় সড়কের ওই অংশ নিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বাকি দুটি খুঁটি সড়কের ওপর।

সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য মৌলভীবাজার সওজ তাঁদের কাছে কোনো চিঠি পাঠায়নি। তারা কোনো প্রকার সমন্বয় না করেই ইচ্ছেমতো সড়ক ঢালাইয়ের কাজ করছে।

তবে এ বিষয়ে সওজের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য প্রায় তিন মাস আগে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে লিখিত চিঠি ও বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের খরচের টাকা পাঠিয়েছি।’