নওগাঁয় পতাকা বৈঠকের পর বিরোধপূর্ণ জমি পরিমাপ করল বিজিবি-বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাটের আগ্রাদ্বিগুণ সীমান্তে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে
ছবি: বিজিবির সৌজন্যে

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ সীমান্তের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আজ বুধবার বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। পরে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ওই জমি পরিমাপ করা হয়।

বৈঠক শেষে ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন বলেন, ‘জমিটি নিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। আজকে দুই দেশের যৌথ জরিপে বিরোধপূর্ণ জমিটি যে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়েছে, তা প্রমাণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএসএফের প্রতিনিধিদলের নেতা আশ্বস্ত করেছেন, জরিপকাজের ফলাফল দ্রুত পত্র মারফত বাংলাদেশকে অবহিত করবেন।’

১৪ বিজিবি (পত্নীতলা) সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আগ্রাদিগুণ সীমান্তে ২৫৭ / ২০ আর পিলারের কাছে জমি নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জমিটি দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকেরা চাষাবাদ করছিলেন। কিন্তু প্রায় সময়ই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি কৃষকদের ওই জমিতে চাষাবাদ করতে বাধা দিতেন। এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সম্প্রতি বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহ্বান করে। এ পতাকা বৈঠকের আহ্বানে সাড়া দেয় বিএসএফ।

আজ বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিজিবির পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং বিএসএফের ১৬৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এসের নিকটবর্তী আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষে ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন। ১২ সদস্যবিশিষ্ট বিএসএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের আরাদপুর ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার মিশ্র। এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করা হয়।

জানতে চাইলে ধামইরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের বৈঠক সম্পর্কে এবং জমি পরিমাপের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে প্রশাসনকে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার দেওয়া হয়। তবে আজকে বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক এবং জমি পরিমাপের পর কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ ব্যাপারে আমাদের (প্রশাসন) এখনো জানানো হয়নি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় হওয়ায় বিস্তারিত না জানা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’