নরসিংদীতে নির্মাণাধীন ভবনের ১৩ তলা থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু, আরেকজন আহত

নরসিংদী পৌরসভার ‘নদী-বাংলা সেন্টার পয়েন্ট’ নামের ১৭ তলার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদী পৌরসভা ভবন–লাগোয়া একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ১৩ তলা থেকে দুজন নির্মাণশ্রমিক পড়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন, আরেকজন আহত অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আছেন।

আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় শহরের পুরান বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন নদী-বাংলা সেন্টার পয়েন্ট নামের ১৭ তলা ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শ্রমিকের নাম পলাশ চন্দ্র রায় (২০)। তিনি দিনাজপুরের খানসামা এলাকার নিরেন রায়ের ছেলে। অন্যদিকে গুরুতর আহত অপর শ্রমিকের নাম সম্পদ (২২)। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায় বলে জানা গেছে। হতাহত দুজন শ্রমিকই বিকাশ চন্দ্র রায় নামের এক রাজমিস্ত্রির তত্ত্বাবধানে গত তিন মাস ধরে ভবনটিতে কাজ করছিলেন।

রাজমিস্ত্রি বিকাশ রায় বলেন, ১৩ তলার ওই ফ্লোরে দুই ভাগে ভাগ হয়ে মোট চারজন শ্রমিক দেয়াল পলেস্তারার (প্লাস্টারের) কাজ করছিলেন। হতাহত দুজন লিফটের ফাঁকা স্থানে কাজ করছিলেন। হয়তো এ সময় তাঁরা পড়ে যান। আহত সম্পদের কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি সুস্থ হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বহুতল ভবনটির প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ ধপাস শব্দ শুনতে পাওয়ার পর প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ময়লা বা কোনো কিছু হয়তো ফেলা হয়েছে বা পড়ে গেছে। মিনিটখানেক পর কয়েকজন শ্রমিকের চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন দুজন শ্রমিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাঁদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালটিতে নেওয়ার পরপরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পলাশ চন্দ্র রায়কে মৃত ঘোষণা করেন এবং সম্পদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। পরে তাঁরা দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে পলাশকে মৃত ঘোষণা করলে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় এবং সম্পদকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠান তাঁরা।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার কমল জানান, বহুতল ভবন থেকে পড়ে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়। একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুজনকেই নিয়ে তাঁদের সহকর্মীরা ঢাকায় গেছেন।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, বহুতল ভবন থেকে পড়ে হতাহতের কোনো খবর তাঁকে কেউ জানাননি। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।