অক্সিজেন সরবরাহের সময় বিস্ফোরণ, একজন সামান্য আহত

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে আজ রোববার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অক্সিজেন সরবরাহের সময় হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার গ্যাস চেম্বার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনায় একজন রোগী সামান্য আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় পুরো আইসিইউ কক্ষে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্বাসকষ্টে ভোগা মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আতঙ্কে ছোটাছুটি করেন স্বজনেরা। পরে স্বজন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আইসিইউ কক্ষ থেকে সব রোগীকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফিন্সেও খবর দেওয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের দোতলায় করোনায় ইউনিটে আইসিইউতে মুমূর্ষু সাত রোগীকে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার সাহায্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আইসিইউতে ৭ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন একজন রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহের সময় হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার গ্যাস চেম্বার গরম হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, আইসিইউ কক্ষে করোনা রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহের হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা বিস্ফোরিত হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দোতলার আইসিইউ কক্ষে সাতজন রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ চলছিল হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার মাধ্যমে। টানা দীর্ঘক্ষণ ধরে চালু থাকার কারণে গরম হয়ে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার একটি গ্যাস চেম্বার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এবং ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা অকেজো হয়ে গেছে।

আবদুল ওয়াদুদ আরও বলেন, করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগ রোগীরই অক্সিজেন সরবরাহে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার প্রয়োজন পড়ছে। তাঁদের হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে ১২টি। ফলে টানা চালু রাখতে হচ্ছে। এতে গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বেশি সংখ্যক হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা পালা করে ব্যবহার করতে পারলে এ সমস্যা হতো না।