অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন কারাগারে

হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে মাদ্রাসাছাত্রদের অবস্থান
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থানা ভবন, ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. কামরুদ্দিন (২৮), আখতার মিয়া (৫৫), বখতিয়ার উদ্দিন (২৩) ও সাদেকী সাঈদ মুছা (১৯)। গত বুধবার রাতে তাঁদের হাটহাজারীর বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কামরুদ্দিন হাটহাজারীর চারিয়া মুরাদপুর এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। বাকি তিনজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, তাঁরা হেফাজতে ইসলামের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, চারজনকে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো কাগজপত্র পাননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, চারজনকে হাটহাজারী থানায় হওয়া ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা থানায় হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। পরে চারজন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, চারজন নিহত হওয়ার জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী ও পটিয়া থানা ভবন, হাটহাজারী ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে হামলা চালান। সরকারি হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯২ লাখ টাকা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাতটি, পটিয়া থানায় একটিসহ আটটি মামলা হয় ঘটনার চার দিন পর। আর এসব ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ৪ হাজার ৩০০ জনকে। সন্ত্রাসবিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো হয়।