অগ্রণী ব্যাংকে ৪০ গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছিলেন। কিন্তু টাকা ব্যাংকে জমা না করে ওই কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেন। এভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ৪০ জন গ্রাহকের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে প্রত্যাহার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছেন। বুধবার প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া অগ্রণী ব্যাংকের শ্রীপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক হলেন আবদুল হালিম। বরখাস্ত তিনজন হলেন ক্যাশ ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, ক্যাশ অফিসার দেলোয়ার হোসেন ও ক্যাশ অফিসার বদরুল হাসান।

ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টে যথানিয়মে টাকা জমা দিলেও সেগুলো ব্যাংকে জমা না করে ওই কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেন। এসব বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন গ্রাহক লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছিলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাময়িক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। ওই গ্রাহকেরা বলেন, যাদের কাছে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ আছে, তাঁরা আগে টাকাগুলো ফেরত পাবেন বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের জানিয়েছেন। তবে ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক টাকার অঙ্কের পরিমাণ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করতে পারেননি।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই দুর্নীতির বিষয়গুলো আমিই ধরেছি। তিনজন কর্মকর্তা এসব কাজে জড়িত। বর্তমানে তদন্ত চলছে। পুরো বিষয়টিই আমাদের অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ব্যাংকটির বরখাস্ত কর্মকর্তা বদরুল হাসান বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল তা সমাধান করে ফেলেছি। টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।’

অগ্রণী ব্যাংক শ্রীপুর শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। অনেক অ্যাকাউন্টের টাকা ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।’