অটোরিকশাচালকের কৌশলে ধরা পড়ল অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য

অটোরিকশা
অটোরিকশা

অনেক যাত্রী নিয়ে চলছিল বাসটি। পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যায়। এ সময় সবাই নেমে গেলেও এক যাত্রী অচেতন অবস্থায় গাড়িতেই পড়ে থাকেন। তল্লাশি করে দেখা যায় তাঁর কাছে টাকা, মোবাইল কিছুই নেই। তাই কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি তিনি অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েছেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে এক অটোরিকশাচালকের কৌশলে ধরা পড়ে ওই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

আজ মঙ্গলবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাগের সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ধরা পড়া দুজন হলেন হাসান (৩৬) ও আলমগীর (৩০)। হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের সুরমা গ্রামে। আলমগীর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। দুজনের কাছ থেকে ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, স্থানীয় জনতা দুজনকে আটক করার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এ চক্রের সদস্যদেরও খোঁজা হবে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বাসযাত্রী জানান, জৈন্তাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীবাহী বাসটি সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে সারীঘাট এলাকা থেকে গোলাম কিবরিয়া নামের এক যাত্রী বাসে ওঠেন। যাত্রী বেশে বাসে থাকা অজ্ঞান পার্টির ওই দুই সদস্য গোলাম কিবরিয়াকে অজ্ঞান করে টাকা হাতিয়ে নেন। বাসটি পথে বিকল হয়ে বাগের সড়ক এলাকায় থেমে গেলে সব যাত্রী নেমে যান। এ সময় কিবরিয়াকে অবচেতন অবস্থায় দেখে অন্যান্য যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টির ঘটনা কি না, খোঁজ শুরু করেন। ঠিক ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে পালান। ওই অটোরিকশাচালকে বাসের একজন যাত্রী চেনেন। তিনি চালককে ফোন দিয়ে ঘটনা জানান। অটোরিকশাচালক পথে চিকনাগুল বাজারে লোকজনের একটি জটলা দেখে তাঁর গাড়ি থামিয়ে দেন এবং স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে অজ্ঞান পার্টির দুজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।