অধিগ্রহণ করা জমির ন্যায্যমূল্য দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আশুগঞ্জ চারলেন মহাসড়কে অধিগ্রহণ করা জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। আজ বুধবার সকালে দণি ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আশুগঞ্জ চার লেন মহাসড়কের আখাউড়া অংশে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা জমির দাম চেয়েছেন মালিকেরা। আজ বুধবার সকালে দণি ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, রহিমপুর মৌজায় অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে বসতভিটা ও জমি হারিয়ে মালিকেরা মারাত্মক লোকসানে পড়েছেন। এ মৌজায় প্রতি শতক জমি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায় বেচাকেনা হয়। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি শতক জমির দাম ১ হাজার ৮ টাকা নির্ধারণ করা আছে। আবার পাশের সাহেবনগর মৌজায় সরকার নির্ধারিত মূল্য শতক ১ লাখ ৩৫ হাজার, আনন্দপুরে ৯২ হাজার ও বঙ্গের চরে ৪৪ হাজার টাকা।

ন্যায্যমূল্য ছাড়া এক ইঞ্চি জায়গাও দেব না। প্রয়োজনে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব
মো. জালাল উদ্দিন, চেয়ারম্যান, দণি ইউপি, আখাউড়া

শাহনেওয়াজ বলেন, জমির ন্যায্যমূল্য না পেলে জীবন দিয়ে হলেও অধিগ্রহণ প্রতিহত করা হবে। তিনি পাশের মৌজার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জমির মূল্য পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ৫৩ শতক জায়গা অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে। এতে আমি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’

দণি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ন্যায্যমূল্য ছাড়া এক ইঞ্চি জায়গাও দেব না। প্রয়োজনে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।’ তিনি বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মহসিন ভূঁইয়া, আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মো. ফেরদৌস। তাঁরা বলেন, প্রস্তাবিত সড়কটির নকশা সামান্য পরিবর্তন করে মোগড়া ইউনিয়নের তুলাবাড়ি থেকে সোজাসুজি আখাউড়া স্থলবন্দরে যুক্ত করতে হবে। এতে ৭টি গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান, মার্কেট, বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা রক্ষা পাবে। এতে জনগণেরও ক্ষতি কম হবে।