অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ফেরি চলাচল

নাব্যতা-সংকটের কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে আট দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর কাঁঠালবাড়ি ঘাটেফাইল ছবি

আট দিন বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরুর দুই দিন যেতেই আবারও রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হলো। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে লৌহজং চ্যানেলটি ভরাট হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এ সময় ঘাটে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।

নাব্যতা–সংকটের কারণে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। টানা আট দিন বন্ধ থাকায় গত শুক্রবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়াত আহম্মেদ রাত সাড়ে নয়টার দিকে জানান, পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। স্রোতের সঙ্গে পলি ভেসে আসছে। সেই সঙ্গে পদ্মার চর ভেঙে পড়ছে। এতে নাব্যতা–সংকট তৈরি হয়ে চ্যানেলটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই আজ রাত থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি এ পথের যাত্রী ও চালকদের বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, আট দিন বন্ধ থাকার পর গত দুই দিন দিনের বেলায় সীমিত আকারে ছোট ফেরিগুলো চলছিল। চ্যানেল বিপর্যয়ের কারণে ঘাট আবারও বন্ধ হলো। এটি ঘাটে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস ধরেই নাব্যতা–সংকটের জন্য ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ ঘাটে এমন অচল অবস্থা এর আগে কখনো ছিল না। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি ফেরি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে লৌহজং চ্যানেল পর্যন্ত গিয়ে নাব্যতা–সংকটের কারণে ফিরে আসে।

এরপর বেলা সোয়া একটায় কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি কিশোরী হাতেগোনা কয়েকটি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সর্বশেষ শিমুলিয়া ঘাট থেকে এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফেরি কুমিল্লা কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছে। এরপর থেকে শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি উভয় ঘাটে যানবাহনের সারি বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন