অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হলো খননকাজ

খালপাড়ের চারটি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা দুদক কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন।

দুস্থদের নিয়োগের কথা থাকলেও খননযন্ত্র দিয়ে খাল খনন করায় কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি। গত সোমবার বগুড়ার আদমদীঘির আমইল-ইন্দইল খালে
প্রথম আলো

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ‘আমইল-ইন্দইল খান পুনঃখনন’ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত সোমবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

খালটির দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক এক কিলোমিটার। পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এলজিইডি ও দাতা সংস্থা জাইকার যৌথ অর্থায়নে আমইল-ইন্দইল খালের ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার পুনঃখনন প্রকল্পে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুরু থেকেই খননকাজ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন খালপাড়ের ইন্দুইল, ছোট আখিড়া, ডালাম্বা, কালাইপুড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন।

অভিযোগে বলা হয়, খালপাড়ের গ্রামের ছিন্নমূল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্ত ও দুস্থ নারীদের খননকাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ পাওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ করা হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মোট কাজের ৭০ শতাংশ খননযন্ত্র ও ৩০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে করা যাবে।