অন্যকে ফাঁসাতে ৯৯৯–এ ফোন, ধরা খেলেন নিজেরাই

অন্যের দোকানে ইয়াবা রেখে ফাঁসাতে গিয়ে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চারজন। আজ রোববার টাঙ্গাইলের সখীপুর থানায়
ছবি: প্রথম আলো

প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে কৌশলে অন্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইয়াবা রেখে দেন তাঁরা। এরপর ফোন দেন সরকারের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ। পুলিশ এসে ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইয়াবাসহ তিনজনকে করে আটকও করে। তবে ঘটনা নিয়ে সন্দেহ হলে তদন্ত করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত অন্যের দোকানে ইয়াবা রেখে ফাঁসানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌসভায়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছেন পৌরসভার রিমু থাই অ্যালুমিনিয়ামের মালিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল কাদিরের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৮), একই ওয়ার্ডের গান্ধিনাপাড়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে ফজলুল হক (২৮), আরজু মিয়ার ছেলে আল-মামুন (৩২) এবং মন্দিরপাড়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৫)।

এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আজ রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জেলখানা মোড়ে রিমু থাই অ্যালুমিনিয়ামের মালিক হামিদুল ইসলাম (৩৮)। তাঁর দোকানের তিন কর্মচারী অমৃত আর্য, জোবায়ের ও শাহেদ দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গার্লস স্কুল সড়কে নিজেরাই ভাই ভাই থাই অ্যালুমিনিয়াম নামের একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এতে করে হামিদুলের দোকানটি কর্মচারীর অভাবে ব্যবসায় ধস নামে। অপরদিকে ওই দোকানটিতে ভালো ব্যবসা হতে থাকে।

এ প্রতিহিংসা থেকে হামিদুলসহ তাঁর বন্ধুরা মিলে ভাই ভাই থাই অ্যালুমিনিয়াম নামের ওই দোকানের ভেতর ৫৮টি ইয়াবা বড়ি গোপনে রেখে আসেন। পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯-এ ফোন দেন। গতকাল শনিবার পুলিশ ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বড়ি উদ্ধার ও তিন দোকানমালিককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আকুতি-মিনতি শুনে পুলিশের সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ওই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ হামিদুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে ও নির্দোষ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।