অপমানের ক্ষোভ থেকে চাচাতো বোনকে খুন

খুন
প্রতীকী ছবি

পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করত চাচার পরিবারের লোকজন। সেই ক্ষোভ থেকেই সুযোগ পেয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে নৃশংস কায়দায় ১১ বছরের চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করে তারই কিশোরবয়সী চাচাতো ভাই। গতকাল শুক্রবার ফেনীর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে খুনের বিবরণ দিয়ে দায় স্বীকার করে এ কথা জানায় গ্রেপ্তার কিশোর। জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের বাড়ির সিঁড়িঘর থেকে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুশিক্ষার্থী তানিশার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই পুলিশ সিঁড়িঘরে পড়ে থাকা স্যান্ডেলের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ছোরাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার কিশোর তার জবানবন্দিতে বলে, তার বাবা জীবিত না থাকায় ও তারা দরিদ্র হওয়ায় ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। সুযোগ পেলেই গালমন্দ করত। এ নিয়ে তার মনে ক্ষোভ জমে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর ভাইকে মসজিদে ভাত পৌঁছে দিতে তাকে ডাকা হয়। সেদিন তানিশার মাও বাড়িতে ছিলেন না। কেবল বৃদ্ধা দাদি ও শিশু তানিশা ছিল বাড়িতে। এ সুযোগে হাত ও মুখ বেঁধে তানিশাকে ছাদের সিঁড়িঘরে নিয়ে খুন করে সে। পরে ছাদের এক পাশে একটি গাছ বেয়ে নিচে নেমে নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু সিঁড়িতে তার স্যান্ডেল ফেলে যায়।

গতকাল দুপুরে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বড় ভাই আশ্রাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই কিশোরের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।