অপহরণ-ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

সিলেটে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর এaক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার পর বিকেলে ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ইউপি সদস্যের নাম শাবাজ আহমদ (৩৮)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁ ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বাড়ি ইউনিয়নের ঘোপাল এলাকায়। মেয়েটিকে অপহরণের ঘটনা ঘটে পাশের টুকেরবাজার এলাকায়। তাঁকে উদ্ধার করা হয় দক্ষিণ সুরমার লালবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে।

কান্দিগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান ও সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিনও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুনেছি একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সালিস বৈঠকে ইউপি সদস্য শাবাজ গিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় মামলা হওয়ায় ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় ডেকে নিয়েছে। অপহরণ, ধর্ষণ কিংবা ভিডিও চিত্র ধারণের ঘটনায় শাবাজ জড়িত কি না, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জে। বুধবার বিকেলে সে সুনামগঞ্জে যাওয়ার জন্য সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজার এলাকায় অবস্থান করছিল। এ সময় সেখান থেকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান ইউপি সদস্য শাবাজ। তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে দক্ষিণ সুরমার লালবাজার এলাকার একটি বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে মেয়েটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন শাবাজ। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটির মা সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর থানা-পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটির চালককে খুঁজে বের করে তারা। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বিকেলে দক্ষিণ সুরমার লালবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ইউপি সদস্য শাবাজকে থানায় ডেকে নেয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়।

মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হয়েছে জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।