অপহরণের পর ১০ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় গৃহবধূকে অপহরণের পর ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বড় গাংনী ইউনিয়নের শালিকা গ্রাম থেকে মানিক মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ মে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে পথে পূর্বপরিচিত মানিক মিয়ার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। মানিক মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে গৃহবধূ তাঁর মোটরসাইকেলে ওঠেন। শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে মানিক সদর উপজেলার দশমাইল বাজার এলাকায় তাঁর আত্মীয় মোহর আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে টানা ১০ দিন ওই গৃহবধূকে আটকে রেখে তিনি ধর্ষণ করেন। পরে ২ জুন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে উপজেলার ভালাইপুর বাজারে নিয়ে যান। সেখানে একটি দোকানে বসিয়ে রেখে মুঠোফোন চার্জের কথা বলে সটকে পড়েন মানিক। পরে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন।

এ ঘটনা জানার পর গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ গতকাল দিবাগত রাতে মানিককে গ্রেপ্তার করে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, মানিক মিয়াকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সেই মামলায় মানিককে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।