অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এক মাদ্রাসা সুপার তাঁরই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীর হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার ভেতর এ ঘটনা ঘটে। আহত সুপার মো. নজরুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীর বলসা গ্রামে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের নাম কাজীর বলসা দাখিল মাদ্রাসা।
আহত সুপার নজরুল ইসলাম জানান, অ্যাসাইনমেন্টের (কাজ) কিছু খাতা মূল্যায়নে সহযোগিতা করতে সহকারী শিক্ষিকা শাহানা ইয়াসমিন অফিস সহকারী কাজী মাহমুদুল হাসানকে অনুরোধ করেন। কিন্তু অফিস সহাকারী তা প্রত্যাখ্যান করেন। ওই শিক্ষিকা বিষয়টি তাঁকে (সুপার) জানান। তিনি ওই শিক্ষিকাকে সহায়তা করতে অফিস সহকারীকে নির্দেশ দেন। এতে মাহমুদুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর মাহমুদুল হাসান মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। একপর্যায়ে একটি চেয়ার উঠিয়ে তাঁর (সুপার) মাথায় আঘাত করেন। এমনকি অফিসে ভাঙচুর চালান মাহমুদুল হাসান।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, তিনি ঘটনাটি জেনেছেন। সুপারকে যেভাবে আহত করা হয়েছে, সেটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। সুপারকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগটি তদন্ত করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পর অফিস সহকারী মাহমুদুল হাসান গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মো. জাকির হোসেন আরও জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অফিস সহকারীর চাকরিচ্যুতি ও জেল–জরিমানা হতে পারে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া জানান, খবরটি শুনে তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। সুপারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়।