অবরুদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পরিবারসহ নেওয়া হলো ভিন্ন উপজেলায়

বরিশালের মুলাদীর গাছুয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। দুপুরে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।

বরগুনার বেতাগীর মোকামিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম।
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকসেদ মীর ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল মালেক সিকদার অনিয়মের অভিযোগ এনে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপর দিকে বরগুনার বেতাগীতে মোকামিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলমকে সপরিবার বরগুনা সদরে পাঠানো হয়েছে।

মাহবুবুল আলম বলেছেন, সহায়তা চাইলে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাঁকে আজ সোমবার সকালে বরগুনা সদরে পৌঁছে দেয়। তবে ডিবির বরগুনা কার্যালয়ের ওসি আবিদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুলকে সহায়তা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

গতকাল রোববার রাত থেকে নিজ বাড়িতে মাহবুবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জালাল গাজীর সমর্থকেরা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ মাহবুবুল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বরগুনায় পৌঁছে দেয়।

মাহবুবুল আলম বলেন, গতকাল রাত থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁর জোয়ার করুণা গ্রামের বাড়ির চারপাশে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের সহায়তা চাইলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় পরিবার নিয়ে বরগুনা আসেন।

এদিকে বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকসেদ মীর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটের আগের রাতে রোববার তাঁর বাড়ির কাছে ‍একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মোকসেদ মীর অভিযোগ করেন, বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ সকাল নয়টার মধ্যে সব কটি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা দখল করে ভোটারদের দিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নিজেদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেন।

অপর দিকে ইউনিয়নটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল মালেক সিকদার বেলা দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, প্রার্থীদের মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ভোট যাতে নির্বিঘ্ন হয়, সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেন। এরপর থেকে আর কোনো সমস্যা নেই সেখানে।