অবৈধ ১১টি ইটভাটায় অভিযান, ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আজ বুধবার অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কয়েকটি গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১১টি ইটভাটা থেকে ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর গাফফারুজ্জামান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায়, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার তথ্য ছিল। পর্যায়ক্রমে এসব ভাটায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ সকাল থেকে দৌলতপুর উপজেলায় অভিযানে নামে র্যাব। সেখানে কয়েকটি গ্রামে প্রায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ২০টি অবৈধ ইটভাটা পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে এসব ভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ভাটা ও ইট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জরিমানা করা ভাটাগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল।
ভাটাগুলোর মধ্যে দৌলতপুরের রিফায়েতপুর এলাকার বিএইচএন ব্রিকসের মালিক আসাদুজ্জামানকে ৭ লাখ, এমবিএন ব্রিকসের মালিক ঝুমুর আলীকে ৭ লাখ, নারায়ণপুরের এবিসি ব্রিকসের মালিক আবদুস সালামকে ৬ লাখ ৪০ হাজার, এবিসি ব্রিকসের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিককে ৬ লাখ, হাসপাতাল সড়কের এএমবি ব্রিকসের মালিক ইয়াসিন আলীকে ৮ লাখ, ডাংমড়কা এলাকার এমআরএন ব্রিকসের মালিক মোফাজ্জল হককে ৮ লাখ, সাদীপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের এ এলএলসি ব্রিকস ও এলএলবি ব্রিকসকে ১০ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার পলাশ হোসেনের মালিকানাধীন এনবিএল ব্রিকসকে ৮ লাখ, শরিফুল ইসলামের এইচএলবি ব্রিকসকে ১ লাখ, ডাংমড়কা এলাকার বিএসবি ব্রিকসের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জরিমানা করা ভাটাগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। কোনো কোনো ভাটায় ব্যাপকভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছিল।