অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ট্রলারমালিককে জরিমানা

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদে অবৈধভাবে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। জিনস প্যান্ট ও পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় নেমে পড়েন কাদায়। পরে এক ট্রলারের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ বুধবার সকালে পাইকগাছা পৌরসভা ও রাড়ুলি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কপোতাক্ষ নদের আলোকদ্বীপ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খবর পেয়ে ছুটে যান ইউএনও খালিদ হোসেন। সরকারি কর্মকর্তাকে দেখে ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে নদীর তীর বরাবর ট্রলারটিকে থামান তিনি। তখন ট্রলারটি মধ্যনদীতে নোঙর করে। অন্যদিকে নদীতে ভাটা থাকায় নদীর পাড় থেকে খানিকটা নিচে ছিল পানি। প্রথমে ইউএনও তাঁর সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যের কাছ থেকে শটগানটি নিয়ে তাঁকে নদীতে নামিয়ে দেন। ওই আনসার সদস্য একটি জেলেনৌকা জোগাড় করেন এবং তাতে চড়তে গিয়ে ইউএনওকে কাদায় নামতে হয়। সাধারণত কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে কাদাপানিতে নেমে কাজ করতে আগে কখনো দেখেননি বলে জানান তাঁরা।

ইউএনওর ওই কর্মকাণ্ড কেউ একজন মুঠোফোনে ভিডিও করেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

জানতে চাইলে ইউএনও এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত থাকবে—এমন ধারণা থেকেই কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলতে ট্রলারটি আনা হয়েছিল। মুঠোফোনে ওই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি করে সেখানে চলে যাই। পরে একটি ছোট জেলেনৌকা নিয়ে ধাওয়া করে ট্রলারের মালিককে ওই জরিমানা করা হয়।’