অভিনব কায়দায় তেল চুরি, একজন গ্রেপ্তার

একটি পিকআপ। তার ওপর একটি প্লাস্টিকের ট্যাংক। ট্যাংকটি ৫০০ লিটার ধারণক্ষমতার। মাছের পোনা নেওয়ার মতো করে পিকআপটি পলিথিন দিয়ে ঢাকা।

আর পিকআপের চালকের আসনের নিচে একটি মোটর। ট্যাংক থেকে একটি পাইপ মোটরটির সঙ্গে সংযুক্ত। আরেকটি পাইপ দিয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চুরি করা হয় তেল। সাধারণত কোনো ফিলিং স্টেশনে থেমে থাকা ট্রাকের পাশে পিকআপটিকে দাঁড় করানো হয়। এরপর কৌশলে পাইপের একটি মুখ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ট্রাকের ট্যাংকে। এরপর সিটের নিচের সুইচ চাপ দিয়ে মোটর চালু করে টেনে নেওয়া হয় তেল।

ফরিদপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তেল চুরির এই বিবরণ দেয় পুলিশ। রোববার বেলা একটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।

জামাল পাশা জানান, রোববার ভোরে তেল চোর চক্রের এক সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের মৃগী এলাকায় অবস্থিত মমতাজ ফিলিং স্টেশন থেকে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম সুমন ভূঁইয়া (৩০)। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউসিয়া বাইলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

জামাল পাশা জানান, সুমন পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি প্রায় চার বছর ধরে এভাবে তেল চুরি করে আসছিলেন। তিনি জানান, সুমনসহ এই দলের সদস্যসংখ্যা তিন। জামাল পাশা বলেন, বাকি দুজনের নাম ও ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।