অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিচারের দাবি ছাত্রলীগের আরেক অংশের

সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
প্রথম আলো

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার করার দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ ও পার্শ্ববর্তী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা এই বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়ায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরও ছাত্রাবাস কীভাবে খোলা রাখে কর্তৃপক্ষ—এ নিয়ে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে কলঙ্কের দাগ লেগেছে। এই দাগ মোচন করতে হবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার করার মধ্য দিয়ে।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চলছে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ। এ সময় তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, কলেজ ফটক ও ছাত্রাবাস ফটকের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে থাকা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে তুলে দেন।

সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
প্রথম আলো

এমসি কলেজ, সিলেট মহানগর ও জেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত। ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমসি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক নেতা বলেন, 'অভিযুক্ত ছাত্রলীগ, আবার বিক্ষোভও করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এই বিক্ষোভই প্রমাণ করে কতটা ছত্রভঙ্গ অবস্থায় আছে সেখানকার ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকেরা।’

ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষোভে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়
প্রথম আলো

শুক্রবার রাতে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও ছাত্রাবাসের ওই কক্ষ ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের দখল করা কক্ষ হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের নামে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পর পুলিশ ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে অস্ত্র মামলায়ও আসামি করা হয়েছে।