অল্পের জন্য রক্ষা পেল পঞ্চগড় এক্সপ্রেস

ভাঙা রেললাইন ও ফিস প্লেট দেখে স্থানীয় লোকজন লাল গামছা নিয়ে ট্রেন থামাতে দাঁড়িয়ে যান। শুক্রবার সকালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কোকতারা এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

রেললাইন ও ফিস প্লেট ভাঙা। তখন ছুটে আসছিল পঞ্চগড়গামী আন্তনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এমন অবস্থায় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি রেললাইনের ওপর লাল গামছা নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। দূর থেকে ট্রেনচালক তা দেখতে পেয়ে ভেঙে যাওয়া রেললাইন ও ফিস প্লেটের প্রায় ১৫-২০ মিটার আগে ট্রেনটি থামান। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও হিলি সেকশনের মধ্যবর্তী ৩৩০/৮ এ কোকতারা নামে স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।

সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি কোকতারা এলাকায় রেললাইন ভাঙা দেখতে পান। তিনি কয়েক ব্যক্তিকে নিয়ে দ্রুত একটি লাল গামছা নিয়ে রেললাইনের ওপর দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পরেই পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাঙা রেললাইন ও ফিস প্লেটের ১৫-২০ মিটার আগে এসে থেমে যায়। ট্রেনচালক ও পরিচালক ট্রেন থেকে নেমে এসে ভাঙা রেললাইন ও ফিস প্লেট দেখে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানান। রেললাইন মেরামত শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী চালক মো. শাহে আলম আরিফুজ্জামান শেখ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনটি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছিল। দূর থেকে কয়েক ব্যক্তিকে একটি লাল গামছা নিয়ে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনা হয়। পরে ট্রেনটি ভাঙা ট্রেন লাইনের আগেই থামানো হয়।

সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মনজের আলী বলেন, পাঁচবিবির কোকতারা এলাকায় রেললাইনের কিছু অংশ ভাঙা দেখে স্থানীয় লোকজন লাল কাপড় ধরেন। এটি দেখে ট্রেনচালক ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ভাঙা স্থানের আগে ট্রেনটি থামান। মেরামতের পর সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।