অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

প্রতারণা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। আজ রোববার ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্ত। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন টিম। এ সময় তাঁর কাছ থেকে অশ্লীল ছবি, অশ্লীল ভিডিও, ইলেকট্রিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহকে উদ্ধৃত করে ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনার শিকার নারী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয়ের সূত্রে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ জুলাই শিক্ষার্থীকে মোহাম্মদপুরে তাঁর নিজ বাসায় নিয়ে যান হারুন। সেখানে ওই নারীর ওপর চাপ প্রয়োগ করে অশ্লীল ছবি তোলেন এবং বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেন। পরে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করিয়ে নেন। নিজের সম্মান ক্ষুণ্ন ও লেখাপড়া বন্ধের আশঙ্কায় ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি গোপন রাখেন।

২৭ সেপ্টেম্বর ঘটনার শিকার নারী নোটারি পাবলিক সদর, চট্টগ্রাম থেকে হলফনামার মাধ্যমে হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্তকে তালাক দেন। এরপর আসামি ওই নারীর বিভিন্ন আত্মীয়ের মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করেন। এ ছাড়া ওই নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করতে থাকেন। অশ্লীল ছবি দিয়ে একটি ফেসবুক আইডিও খুলে বসেন। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটনার শিকার নারী অভিযোগ জানান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়।