অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন

কড়া পুলিশি পাহারায় নূর হোসেন। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্র মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চাঁদাবাজির অপর একটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় নূর হোসেনকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে। আজ সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার পর নূর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নূর হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকসহ আটটি মামলা ছিল। এর মধ্যে চারটি মামলার রায় হয়েছে।

নূর হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকসহ আটটি মামলা ছিল। এর মধ্যে চারটি মামলার রায় হয়েছে।

অস্ত্র মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নূর হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়ে ও বেপরোয়া চলাচল করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। ২০১৪ সালের ৫ মে নূর হোসেনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন নারায়ণগঞ্জের তখনকার জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা। জেলা প্রশাসক লাইসেন্স বাতিল করা অস্ত্র ও গুলি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা যায়নি। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জাসমিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয়জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত ওই রায় দেন। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির একটি মামলায় নূর হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সবাইকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র‍্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।