অস্ত্রোপচার ছাড়াই মায়ের কোলে একসঙ্গে ৩ ছেলে

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন নবজাতক।
প্রথম আলো

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাতে এক প্রসূতি মা তিন ছেলের জন্ম দিয়েছেন। মায়ের নাম লিয়ানা শিকদার (১৯)। কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়া স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া নবজাতকেরা ভালো আছে। মা আশঙ্কামুক্ত আছেন। একসঙ্গে তিন ছেলের জন্মে দরিদ্র পরিবারে বইছে আনন্দের ধারা।

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা শোভন কুমার বসাক বলেন, সরকারি হাসপাতালের এক স্টাফ নার্সের হাতে বেসরকারি হাসপাতালে ওই তিন নবজাতকের জন্ম। শিশুদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৯০০ গ্রাম ও এক কেজি ৮০০ গ্রাম। যদিও একজন নবজাতকের ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন দরকার হয়। তবে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছে। মা ও নবজাতকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখভাল করছেন।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যার বিশেষজ্ঞ হোসনে আরা বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে নবজাতকদের জন্ম হয়েছে। সবাই ভালো আছে। মায়ের প্রেশার বাড়তি ছিল। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। মায়ের এখন প্রচুর ঘুম ও বিশ্রাম দরকার। দরকার পুষ্টিকর খাবার।’ তিনি আরও বলেন, তিনটি শিশুকে দেখভাল করতে মাকে প্রচণ্ড কষ্ট করতে হবে। বুকের দুধের চাহিদা মেটাতে মাকেও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

লিয়ানার বাবার বাড়ি উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের জিন্নাগড় গ্রামে। তাঁর বাবার মো. হোসেন শিকদার। তিনি চরফ্যাশন বাজারে ঝাল-মুড়ি বিক্রি করেন। মা সেতারা বিবি গৃহিণী। লিয়ানারা এক ভাই, এক বোন। তিনি দাখিল (এসএসসি) পাস করার পরে আর পড়েননি। বছরখানেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্বামী মো. রুবেল পাটওয়ারী (২৪) একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুদু মিয়ার পুলের কাছে। প্রথমবার বাবা হলেন তিনি।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, তিন ছেলের জন্মের কথা শুনেছেন। দরিদ্র পরিবারটিকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।