আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ৬

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শনিবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে গত শুক্রবার সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় পরের দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে।

পুলিশের করা মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে আজ রোববার শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন কসবা পৌর শহরের তেতৈয়া এলাকার রাসেল (৩০), সুমন মিয়া (২৫), হৃদয় খান (২১), মো. সালাউদ্দিন (২৭), রবিন মিয়া (২০) ও কাইউম মিয়া (২০)। তাঁরা সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর পর শুক্রবার নিজের নির্বাচনী এলাকা কসবায় যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন ও তাঁর সমর্থকেরা আইনমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এম এ আজিজ ও তাঁর সমর্থকেরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি মোটরসাইকেল।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে যাঁরা ব্যাংক-বিমা কার্যালয় ও গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাহিদ হাসান বলেন, ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।