আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিল পুলিশ

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ মার্চ নিজের নির্বাচনী এলাকা কসবায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন ও তাঁর সমর্থকেরা আইনমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন।

একই সময় কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এম এ আজিজ ও তাঁর সমর্থকেরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কমপক্ষে ১০টি মোটরসাইকেল। ওই সময় মন্ত্রী উপজেলা পরিষদে থাকা সত্ত্বেও দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় ওই এলাকার ব্যাংক ও বিমার কার্যালয়ের কাচও ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন ৬ মার্চ রাতে কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে থানায় মামলা করেন। ৬ মার্চ উপজেলা পরিষদের এলাকায় স্থাপিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা ব্যাংক ও বিমা কার্যালয় ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তাদের ওই মামলার আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন ভিডিও ফুটেজ দেখে এজাহারভুক্ত ২৮ আসামির মধ্যে ১৩ জনের নাম বাদ দেন। মামলার অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ আসামির মধ্য থেকে ৫০ জনকে শনাক্ত করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৬৫ জনকে আসামি করে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই অভিযোগপত্র বৃহস্পতিবার ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে পরবর্তী তারিখে শুনানি করা হবে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে এজাহারভুক্ত ২৮ আসামির মধ্য থেকে ১৩ জনের নাম বাতিল করা হয়েছে। মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্য থেকে ৫০ জনের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।