আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ ২৩ জন আহত

সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। আজ সকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়েনদিয়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার পরমেশ্বদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া ও পরমেশ্বদী গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের ২৫-৩০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পরমেশ্বদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ময়েনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মান্নান মাতুব্বরের সঙ্গে পরমেশ্বদী গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মাসুদ শেখের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল ছয়টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন ঢাল–সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. নিজাম (২০), সুমন বিশ্বাস (২০, সুজন শেখ (২৫) ও  ইস্রাফিলকে (৩০) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হন। এতে আহত ব্যক্তিরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন অর রশীদ (৪৫), এএসআই হাবিবউল্লাহ (৩৩) ও ফারুকুজ্জামান (৪২), কনস্টেবল মিরাজ (৪৬), রফিকুল ইসলাম (৫২), বজলুর রহমান (৫২) ও মাসুদ রানা (২৯)। এই সাতজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এক পক্ষের নেতা মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে আজ সকালে মাসুদের লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। বিষয়টি আমি আঁচ করতে পেরে বোয়ালমারী ও সালথা থানা-পুলিশকে জানিয়েছিলাম।’ অপর পক্ষের নেতা মাসুদ শেখ বলেন, ‘আমার লোকজন ময়েনদিয়া বাজারে বাজার করতে গেলে মান্নান মাতুব্বরের লোকজন তাঁদের মারধর করেন। অনেক সময় বাজার থেকে ধাওয়া দেন। এ ছাড়া আমার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে তাঁর দলে ভেড়াতে চান।

আজ সকালে মান্নানের লোকজন আমার গ্রুপের লোকদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করেছেন এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।’

ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিচুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত আছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত কোনো পক্ষই সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।