আওয়ামী লীগের নেতাকে পিটিয়ে জখম, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন হামলার শিকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আসমা বেগম। বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে।
ছবি: প্রথম আলো

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় গত সোমবার আওয়ামী লীগের এক নেতার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা ওই হামলা চালান বলে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তি হলেন চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। ছাত্রলীগের ওই নেতা হলেন এনামুল হোসাইন। তিনি ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহিদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে শহিদুলের স্ত্রী আসমা বেগম লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহিদুলের বাবা শাহজাহান হাওলাদার ও ভাই রফিকুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে আসমা বেগম বলেন, শত্রুতার জেরে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্ঞানপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এনামুল হোসাইনের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেলে ৮-৯ জন রড ও পাইপ নিয়ে শহিদুলকে ধাওয়া করেন। ভয়ে শহিদুল ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই ঘরের দরজা ভেঙে শহিদুলকে রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।

হামলায় বাধা দিলে মজিবুরের স্ত্রী আয়েশা বেগমকেও আঘাত করে জখম করা হয়। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে শহিদুলকে বিকেলে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শহিদুল ইসলামের বুকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর মাথার দুপাশে ও হাঁটুতেও জখম রয়েছে।
জি এম আকবর হোসেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা জি এম আকবর হোসেন বলেন, শহিদুল ইসলামের বুকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর মাথার দুপাশে ও হাঁটুতেও জখম রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুলের বাবা শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘এনামুল হোসাইনের বড় ভাই এএসপি। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা মামলা করার সাহস পাচ্ছি না। এনামুল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু পাথরঘাটা থানা, প্রশাসনসহ সবার কাছে তিনি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, এনামুল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই কমিটি সম্মেলন দিতে না পারায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ১ বছর আগে সেটি বিলুপ্ত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ওখানে উপস্থিতই ছিলাম না। ওই ঘটনায় জড়িতও নই।’