ভ্যানচালকদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাল প্রশাসন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের ডেকে এনে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরে প্রশাসনের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়েছে। এ কারণে উপজেলায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আজ বেড়ে গেছে।

আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাধেশ্যাম আগরওয়ালা প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উদ্যোগে ও থানা-পুলিশের সহায়তায় আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কয়েক গুণ বেড়েছে। যত বেশি পরীক্ষা হবে, তত বেশি শনাক্ত হবে। এতে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিকে দ্রুত আলাদা করা যাচ্ছে।

রাধেশ্যাম আগরওয়ালা বলেন, গতকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট সাতজন অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের পজিটিভ ফলাফল এসেছিল। আজ হঠাৎ করেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে ৯৪ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের পজিটিভ ফল এসেছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক ছিলেন।

ইউএনওর নির্দেশে পুলিশ ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে জড়ো করেছিল। এরপর তাঁদের সবাইকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনওর নির্দেশে পুলিশ ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে জড়ো করেছিল। এরপর তাঁদের সবাইকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়েছে।

ইউএনও এস এম হাবিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার দুটি উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এ কারণে দুটি পৌরসভায় বিধিনিষেধ চলমান। ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকেরা যেখানে-সেখানে চলাচল করছেন। তাই ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলায় গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। আজকে বেশি পরীক্ষা হওয়ায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। যাঁদের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দ্রুত কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আলম হোসেন বলেন, ‘আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী আনা–নেওয়া করছিলাম। দুপুরে হঠাৎ করে পুলিশের একটি দল এসে ভ্যানচালকদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করায়। এরপর আমাদের সবাইকে ফরম পূরণ করিয়ে দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’