আক্রান্তের খবর শুনতেই বাড়ি থেকে পালালেন

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

করোনার উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় ফল আসে ‘পজিটিভ’। এর পরপরই আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর বাড়ির দিকে রওনা হন। করোনার সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যও একই দলে ছিলেন। তবে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।


মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের একটি গ্রামে আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং থানা পুলিশের ভাষ্যমতে, ঢাকার গাবতলী এলাকায় চা-বিস্কুটের ভ্রাম্যমাণ দোকান এই ব্যক্তির। গত শনিবার সর্দি ও জ্বর নিয়ে সাটুরিয়ায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে গতকাল রোববার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে নমুনা ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।


আজ সকালে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুন উর রশিদ বলেন, নিশ্চিত হওয়ার পরপরই আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসাসেবাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিনি ওই ব্যক্তির বাড়ির দিকে রওনা হন। মুঠোফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি পালিয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাঁকে।

ওসি মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, তিনি ঢাকার গাবতলীতে অবস্থান করছেন।


সাটুরিয়া ইউএনও আশরাফুল আলম বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিসহ তাঁর ওই আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।