আখখেতে পড়ে ছিল কিশোর ভ্যানচালকের লাশ

লাশের প্রতীকী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার একটি আখখেতে পড়ে ছিল ব্যাটারিচালিত এক কিশোর ভ্যানচালকের লাশ। বুধবার ভোরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের যাতাহারা কলেজের পাশে খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম মো. সিহাব (১৪)। সে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের ধলখইর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন গোমস্তাপুর উপজেলার ছোট দাদপুর গ্রামের আবদুল হাকিম (৩২), বোয়ালিয়া কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম (৫০) ও শিবগঞ্জ উপজেলার কর্ণখালি মির্জাপুর গ্রামের সুজন আলী (২২)।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভ্যান ছিনতাই করতেই সিহাবকে হত্যা করা হয়েছে বলে আসামিরা প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাধাইপুর থেকে যাতাহারা যাওয়ার জন্য ওই ভ্যান ভাড়া করেন আবদুল হাকিম। সেখানে যাওয়ার পথে মো. সুজন আলীও সেই ভ্যানে ওঠেন। যাতাহারা কলেজের পেছনে পৌঁছালে আখখেতে নিয়ে গিয়ে সিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে সেই ভ্যান মোয়াজ্জেমের কাছে জমা রাখা হয়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সারা দিন বিভিন্ন স্থানে খুঁজে ছেলেকে না পেয়ে বিকেলে গোমস্তাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত সিহাবের বাবা সাদিকুল ইসলাম। সেই জিডির সূত্র ধরে সিহাবের মুঠোফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে গভীর রাতে ভোলাহাট এলাকা থেকে আবদুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ থেকে সুজন আলী ও মো. মোয়াজ্জেমকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে যাতাহারা কলেজের পেছনে একটি আখখেত থেকে সিহাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে মোয়াজ্জেমের বাড়ি থেকে ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।