আখাউড়াসহ ১২টি বন্দরে ১০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল আখাউড়া স্থলবন্দর ও আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ১২টি বন্দরে ১০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা ও সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এসব হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, মো. অলিউল্লাহ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম সোহরাওয়ার্দীসহ ১০ জনের একটি দল আখাউড়া স্থলবন্দরসহ সীমান্তে চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান বলেন, যাঁরা আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আসেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত নয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।

সাইদুর রহমান বলেন,‘সেন্টারকে উন্নত করার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। আমরা জায়গা নির্ধারণ করতে পারলে, এখানে ভালো মানের স্বাস্থ্য স্থাপনা নির্মাণ করতে পারব। এতে যাত্রীরা উপকৃত হবেন, এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাও উন্নত সেবা দিতে পারবেন।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্যসেবার জন্য যা যা দরকার, বন্দরে সেগুলো সবই করা হবে। এখন এসবের জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে। ব্যাপক পরিকল্পনা আছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকা এগিয়ে এসেছে। সরকারও অর্থায়ন করছে। এখানে কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল, টেস্টিং সেন্টার ও ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে সবগুলোকে আরও সক্রিয় করা হবে।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা যুগ্মসচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২৪টি ঘোষিত বন্দর রয়েছে। বর্তমানে ১২টি বন্দরের কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি বন্দরই সীমান্তে অবস্থিত এবং জেলা সদর থেকে অন্তত ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরে। তাই হাসপাতাল নির্মিত হলে যাত্রীদের পাশাপাশি বন্দরকেন্দ্রিক লোকজনও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।