আখের গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছিল খেজুরের পাটালি

নাটোর জেলার মানচিত্র
প্রথম আলো

আখের গুড়ের সঙ্গে চিনি ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল খেজুরের পাটালি গুড়, যা বাজারে খেজুরের গুড় হিসেবে বিক্রি করার জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। বুধবার নাটোরের লালপুরের একটি কারখানায় এমন গুড় তৈরির সময় অভিযান চালান র‌্যাবের সদস্যরা। ভেজাল গুড় তৈরির সময় হাতেনাতে ওই কারখানার এক ব্যবসায়ীকে আটকের পর তিন মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয় এক লাখ টাকা।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামে ওই কারখানার অবস্থান। এর মালিক ভুট্টু মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি। ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে অভিযান চালায় নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের একটি দল। এ সময় কারখানাটিতে ভেজাল গুড় তৈরি করা হচ্ছিল।  

র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) রাজিবুল আহসান জানান, কারখানাটি থেকে ৮ হাজার কেজি গুড়, ৭ কেজি চুন, ২ কেজি হাইড্রোজ, ৩ কেজি ডালডা, ২০০ কেজি চিনি ও ২ লিটার ক্ষতিকারক রং জব্দ করা হয়। এ সময় লালপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মি আক্তার সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভোক্তাদের ঠকানোর জন্য ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে আটক কাবিল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ভুট্টু মিয়াকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ভুট্টু মিয়া তাৎক্ষণিক অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান। কাবিল হোসেনকে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মি আক্তার বলেন, যারা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।