আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মোয়াজ্জেমের বাড়ি পুড়ে ছাই

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২ নম্বর আসামি শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের পিরোজপুরের বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডুমরিতলা এলাকায় বাড়িটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, আগুনে সব পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছোট ভাই মাহামুদুর রহমান বলেন, ‘ফজরের নামাজের পরে আমরা হাঁটতে বের হই। সে সময় রাস্তা থেকে খবর পাই বাড়িতে আগুন লেগেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই এবং স্থানীয়রা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের জন্মস্থান এই বাড়িটি। বাড়িটিও পুড়ে গেল। আমার চাওয়া, আমার এই ভাইটার স্মৃতি যেন কোনো দিন মলিন না হয়।’

স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহা. নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মৃতিবিজড়িত শতবর্ষী বাড়িটি যাতে আবার সুন্দরভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়, সরকারের কাছে সেই দাবি জানাচ্ছি।

১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২ নম্বর আসামি ছিলেন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে পাকিস্তানি সেনারা তাঁর ৩৬ এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে। পরে তাঁর লাশ সামরিক জিপের পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনে ঢাকা সেনানিবাসে নেওয়া হয়। তাঁর প্রিয়জনেরা এখনো লাশের সন্ধান পাননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগের অনন্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে মোয়াজ্জেম হোসেনকে ‘স্বাধীনতা পদক’ দেওয়া হয়।