আগুন চোখা মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন

আঙ্গুস বা আগুন চোখা মাছ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সম্প্রতি বিলুপ্ত প্রজাতির আঙ্গুস মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এ উদ্ভাবন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

আঙ্গুস বা আগুন চোখা মাছ।
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আঙ্গুস মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেশের বিলুপ্তপ্রায় মাছ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ গবেষণায় আরও সফলতা এনে দিয়েছে। অঞ্চলভেদে আঙ্গুস মাছ আগুন চোখা, আংরোট ও কারসা নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে labeo angra। একসময় মাছটি বৃহত্তর সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে প্রচুর পাওয়া যেত। এটি খেতে সুস্বাদু। ক্রমশ মাছটি হারিয়ে যাচ্ছিল। প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করায় মাছটি এখন থেকে চাষের মাধ্যমে উৎপাদন করা যাবে।

অঞ্চলভেদে আঙ্গুস মাছ আগুন চোখা, আংরোট ও কারসা নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে labeo angra। একসময় মাছটি বৃহত্তর সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে প্রচুর পাওয়া যেত। এটি খেতে সুস্বাদু। ক্রমশ মাছটি হারিয়ে যাচ্ছিল। প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করায় মাছটি এখন থেকে চাষের মাধ্যমে উৎপাদন করা যাবে।
মিঠাপানির আঙ্গুস মাছ আকারে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। একটি স্ত্রী আঙ্গুস মাছের ডিম ধারণক্ষমতা আকারভেদে ২০–৫০ হাজার। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি আঙ্গুস মাছ ৬০–৭০ গ্রাম হলেই পরিপক্ব ও প্রজননক্ষম হয়ে যায়। এর প্রজননকাল মে–আগস্ট। তবে জুন-জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রজনন হয়।

মিঠাপানির আঙ্গুস মাছ আকারে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। একটি স্ত্রী আঙ্গুস মাছের ডিম ধারণক্ষমতা আকারভেদে ২০–৫০ হাজার। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি আঙ্গুস মাছ ৬০–৭০ গ্রাম হলেই পরিপক্ব ও প্রজননক্ষম হয়ে যায়। এর প্রজননকাল মে–আগস্ট। তবে জুন-জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রজনন হয়।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর স্বাদু পানি উপকেন্দ্রে তিস্তা, চিকলী ও আত্রাই থেকে আঙ্গুসের পোনা সংগ্রহ করে গবেষণা শুরু হয়েছিল।
গবেষক দলে ছিলেন সৈয়দপুর উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রশীদুল হাসান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শওকত আহমদ।