আটকে রেখে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ১৪ দিন আগে অপহরণের শিকার ১১ বছরের এক কন্যাশিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে। অপহরণের পর আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতের কাছে অভিযোগ করেছে উদ্ধার হওয়া শিশুটি। ধর্ষণ ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মো. রাকিব হোসেন (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফেনী মডেল থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে ফেনী পৌরসভার মধ্যম চাড়িপুর থেকে ১১ বছরের ওই কন্যাশিশুকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার দুই দিন পর ২০ ডিসেম্বর ফেনী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই শিশুর মা।

পুলিশ জানায়, অপহরণের পর শিশুটি অপহরণকারীদের অজান্তে তাঁদের একজনের মুঠোফোন থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম থেকে অপহরণকারী দলের মো. রাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাকিব গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর দুই সহযোগী শিশুটিকে ফেনীতে এনে শহরের ট্রাংক রোডে ছেড়ে দেন। শনিবার সকালে পুলিশ সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার শিশুটিকে রোববার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতে আনা হয়। সেখানে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর রোরবারই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিশুটি বলে, ১৮ ডিসেম্বর রাতে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে তিন যুবক তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। তিনজনের অপহরণকারী দলের মধ্যে সে দুজনের নাম বলতে পেরেছে। তাঁদের একজন ওই শিশুর প্রতিবেশী মো. রাকিব হোসেন ও অপরজনের নাম মামুন। মামুনই তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান বলে শিশুটি জানায়। অপহরণের পর প্রথমে তাকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় তিন দিন রাখার পর শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিয়ে যান অপহরণকারীরা। এরপর চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকার একটি বাসায় আটকে রেখে রাকিব তাকে ধর্ষণ করেন।

পুলিশ জানায়, ওই শিশুর পৈতৃক বাড়ি লক্ষ্মীপুরে হলেও তারা ফেনী শহরে ভাড়াবাড়িতে থাকত। অভিযুক্ত রাকিব প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে শিশুটিকে চিনতেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার রাকিবের ফোন থেকে ওই শিশু তার বাবার কাছে ফোন করে। এ সময় রাকিব ফোন ফেলে বাইরে গিয়েছিলেন। ওই ফোনকলের সূত্র ধরেই রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে শনিবার মো. রাকিব হোসেনের নাম উল্লেখ করে তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার আসামি মো. রাকিব হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।