আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬৪ বস্তা চাল জব্দ

আদমদীঘির হেলালিয়া হাটে একটি গুদাম থেকে বুধবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬৪ বস্তা চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
প্রথম আলো

উপকারভোগীদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উত্তোলন করেছেন ডিলার। কিন্তু সেই চাল (প্রতি কেজি ১০ টাকা) তিনি বিক্রি না করে নিজের গুদামে জমা করেছেন। সুযোগ বুঝে গুদাম থেকে তিনি চাল পাচার করছিলেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখান থেকে ২৬৪ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নে আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবা হক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই চাল জব্দ করেন। তিনি জানান, ডিলার বেলাল হোসেনের নামে থানায় নিয়মিত মামলা করা হবে। এ জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিতোষ কুমারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য দপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয়া হাটের ডিলার হলেন বেলাল হোসেন। তাঁকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৬৭০ বস্তা (২০ টন ১০০ কেজি) চাল বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। গত সোমবার ও মঙ্গলবার সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিক্রি করার দিন ছিল। কিন্তু বেলাল হোসেন ২৬৪ বস্তা (সাড়ে আট টন) চাল বিক্রি না করে হেলালিয়া হাটে একটি গুদামে রেখে দেন। আজ ভোরে ওই গুদাম থেকে ১৫ বস্তা চাল ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে পাচার করা হচ্ছিল। তখন স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেন।

আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান ঘটনাস্থলে যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবা হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় ডিলার বেলাল হোসেনের গুদাম তল্লাশি করে খাদ্য বিভাগের সিলমোহরযুক্ত ২৩৪ বস্তা এবং ৫০ কেজি ওজনের খোলা ১৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এসব চাল বর্তমানে পুলিশের জিম্মায় রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ডিলার বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।