আদালতে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার আসামি, সন্তানসহ ফিরলেন বাড়ি

সাতক্ষীরার একটি আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার আসামি বাদীকে বিয়ে করেছেন। এরপর আদালত আসামিকে জামিন দেন। জামিনের পর স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ওই ব্যক্তি। দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে।

ওই আসামি হলেন রবিউল ইসলাম (৩৫)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রবিউল এক তরুণীকে (২২) বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেন। এর ফলে ওই তরুণী গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ছেলের জন্ম দেন। নিজের ও সন্তানের স্বীকৃতি না পাওয়ায় ওই নারী ১২ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পুলিশ ২২ ডিসেম্বর রবিউলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

আসামি সব শর্ত মেনে আদালতের সম্মতিতে বাদীকে বিয়ে করেন। পরে আদালত আসামিকে জামিনে মুক্তি দেন। সবকিছু আইনসিদ্ধভাবেই হয়েছে।
শেখ রায়হান আলী, আসামিপক্ষের আইনজীবী

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জহুরুল হায়দার বলেন, আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। শুনানির সময় বাদীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে বিয়ে, সন্তানকে স্বীকৃতি ও এক লাখ টাকা দেওয়া হলে আসামির জামিনে তাঁদের আপত্তি নেই। একপর্যায়ে রবিউল সব শর্ত মেনে আরও এক লাখ টাকা দেনমোহরে বাদীকে বিয়ের জন্য কাজি ডেকে আনেন। কাজি এসে বিয়ে নিবন্ধন করেন। তখন বিচারক শেখ মফিজুর রহমান রবিউলকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। আদেশের পর রবিউল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ রায়হান আলী প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার ওই মামলার আসামি রবিউলের জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার প্রস্তাব দেন বাদীকে বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি ও এক লাখ টাকা দেওয়া হলে আসামির জামিনে তাঁদের কোনো আপত্তি থাকবে না। আসামি সব শর্ত মেনে আদালতের সম্মতিতে বাদীকে বিয়ে করেন। পরে আদালত আসামিকে জামিনে মুক্তি দেন। সবকিছু আইনসিদ্ধভাবেই হয়েছে।