আদালতে মিথ্যা তথ্য, মামলার সাক্ষীর তিন দিনের জেল

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়া আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে এই সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সোনা মিয়া। তিনি পেশায় পোশাকশ্রমিক। বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শশারকান্দা গ্রামে।

সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মোহাম্মদ এনামুল হক সোনা মিয়াকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলা ও আদালতের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (শাল্লা) মামলা করেন শাল্লা উপজেলার শশারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আঙ্গুরা বেগম। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় করা ওই মামলায় ৩৪ জনকে আসামি করেন তিনি। আদালতের বিচারক অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে শাল্লা থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। তদন্তের পর ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

সোনা মিয়া আদালতে তাঁর বাবার নাম দুই বার ভিন্ন ভিন্ন বলেন। বিষয়টি আমলে নেন বিচারক। সোনা মিয়া ওই মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করলে আদালত তাঁকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

ওই তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। ওই তদন্তের সময় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সোনা মিয়া বাবার নাম সোলেমান মিয়া বলেছিলেন। বর্তমানে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। সম্প্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে সোনা মিয়া তাঁর বাবার নাম আবদুল মতলিব উল্লেখ করেন। বিষয়টি আদালতের সন্দেহ হলে তাঁকে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পরের তারিখে আসার নির্দেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার ছিল সেই নির্ধারিত দিন। সোনা মিয়া আদালতে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করলে দেখা যায় তাতে তাঁর বাবার নাম সোলেমান মিয়া লেখা। আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের বিষয়ে এ সময় কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সোনা মিয়া।

পরে সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ আমলে নেন বিচারক। সোনা মিয়া ওই মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করলে আদালত তাঁকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।