আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণ মামলার আসামি খুন

প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিমুল মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, শিমুলকে বগুড়া থেকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশটি গোবিন্দগঞ্জে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া একটি মামলার আসামি।

গতকাল সোমবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। শিমুল মিয়ার বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া গ্রামে।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপি সদস্য ও নিহতের ভাই রায়হান মিয়া বাদী হয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার শিমুল মিয়া ধর্ষণ মামলার হাজিরা দিতে বগুড়ার আদালতে যান। আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে শিমুলকে হত্যার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে রেখে যায় তারা। পথচারীরা রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী লাশটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ফুলপুকুরিয়া বাজারে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার লাশটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিমুলকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। তাঁর একটি পা ভাঙা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।