আধুনিক সেবা নিতে গেলে ব্যয় কিছুটা বাড়বে

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক (এক্সপ্রেসওয়ে) ব্যবহারের জন্য ১ জুলাই থেকে টোল দিতে হবে। ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ মহাসড়কে মাঝারি মানের ট্রাকের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা হারে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাসের জন্য ৪৯৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য (সেডান) ১৪০ টাকা এবং মোটরবাইকের জন্য ৩০ টাকা টোল দিতে হবে। টোলের এ হার পরে আরও বাড়তে পারে। এতে পণ্য পরিবহন ও যাত্রীবাহী যানবাহনের ব্যয়ে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন প্রথম আলোর বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন।

সাইদুর রহমান সভাপতি, বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোলহার জানা গেল। আপনি কি মনে করেন এটা সহনীয়?

সাইদুর রহমান: উন্নত ও আধুনিক সেবা নিতে গেলে অবশ্যই কিছুটা ব্যয় বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, এটা এত বড় একটি প্রকল্প, যাতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। সেই বিনিয়োগ এবং এর রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর অনেক ব্যয় আছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা সহনীয়ই মনে হয়।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: সরকার বলছে, এটা অন্তর্বর্তীকালীন টোলহার। পরে আরও বাড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?

সাইদুর রহমান: আমরা বৃদ্ধির বিষয়টি কেন আগে মাথায় নেব? কমতেও তো পারে। সরকার অবশ্যই সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে এই টোলহার সহনীয় পর্যায়ে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: কেউ কেউ বলছেন, টোলের কারণে এই মহাসড়ক ব্যবহারে আগ্রহ কমবে। আপনার কী মত?

সাইদুর রহমান: এখন মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। তাই মানুষের সময়জ্ঞানও বেড়েছে। এখন মানুষ সময়কে মূল্য দিচ্ছে। তাই উন্নত যোগাযোগের দ্বার খুলেছে পদ্মা সেতু এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় না টোলের কারণে মহাসড়ক ব্যবহারে মানুষ অনাগ্রহী হবে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: মহাসড়ক ও সেতুতে আলাদাভাবে টোল আদায়ের কারণে টোলঘরে যানবাহনের জট তৈরির আশঙ্কা করেন কি?

সাইদুর রহমান: এখন কিছুটা জট হচ্ছে। তবে এটা থাকবে না। কারণ, টোল আদায়ের প্রক্রিয়া মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে টোলপ্লাজায় আধুনিক ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বুথ বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। এটা চালু হতে হয়তো মাস ছয়েক সময় লাগবে। এটা চালু হয়ে গেলে চলমান গাড়ি থেকে মাত্র তিন সেকেন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করা যাবে। এ কারণে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: অনেকে মনে করেন, চলাচল নির্বিঘ্ন হলে ব্যয় বেশি হলেও ক্ষতি নেই। আপনার কী মত?

সাইদুর রহমান: হ্যাঁ, আমারও মত সেটাই। কারণ, এখন মানুষ সময়কে মূল্য দেয়। মানুষ কত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

সাইদুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।